গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের উদ্দযোগে ৪৬তম জাতীয় শোক দিবস পালিত 283 0
গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের উদ্দযোগে ৪৬তম জাতীয় শোক দিবস পালিত
রেজানুর ইসলাম,গাজীপুর
১৫ আগস্ট ২০২১ইং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ইতিহাসের জঘন্যতম,নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৯৭৫ সালের সেই কালরাতে গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য। সেদিন রাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।
অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও খুনিদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘তোরা কী চাস? আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?’ বঙ্গবন্ধুকে দেখেও হাত কাঁপেনি খুনিদের। গুলি চালিয়েছে খুনে চাহনীতে।
সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব,বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল,শেখ জামাল,শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল,রোজী জামাল,ভাই শেখ নাসের,কর্নেল জামিল।
খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
আজ সরকারি ছুটি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে চরম অবহেলিত থাকতো জনক হারানোর দিনটি।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে। তবে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গের হত্যাকারী পাঁচ আত্মস্বীকৃত খুনির ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ,মন্দির,গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে
গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে । অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক প্রতিনিধি আবু জাফর আহমেদ এর সঞ্চালনায় ১৫ আগস্ট ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি,টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: রফিকুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা নুরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে অভিভাবক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খ.ম. আরশেদ আলমসহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক,শিক্ষিকা প্রভাষক,প্রভাষিকা ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।